নিউজ অব জকিগঞ্জঃ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিশেষ অংশ হচ্ছে শুভ জন্মাষ্টমী, দিন ব্যাপী আড়ন্তরভাবে এ অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে জকিগঞ্জের ছয়লেন পালপাড়া কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে। এ সময় শুভ জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ জকিগঞ্জ এর সভাপতি চিনিলাল বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুমন চাল ও
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ এর পূজা বিষয়ক সম্পাদক মিশন রায় এর যৌথ পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র গীতা পাঠ করেন শ্রী জ্যোতিষ পাল, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক সত্যজিত দত্ত পুরকায়স্থ অজয়, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জকিগঞ্জ উপজেলা
শাখার সম্মানিত সভাপতি শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র নাথ, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন জকিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক শ্রী রাজস বিশ্বাস, এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুক আহমদ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর সদস্য শুভ্র কান্তি দাস চন্দন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর সহ গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক নিহার রায়, কেন্দ্রীয় মন্দির এর সভাপতি বাবুল চন্দ্র নাথ, সাধারণ সম্পাদক হিরালাল
বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ কর্ণময় দাস, সাংবাদিক শ্রীকান্ত পাল, জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ তরফদার, তদন্ত অফিসার সুকান্ত চৌধুরী, আইএসপিআর এর সদস্যবৃন্দ, তাছাড়া বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সনাতনী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সকল শ্রেণীপেশার পুণ্যতীরা। বক্তব্যে কমিটির দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বানবাসী অসহায় মানুষের জন্য উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এর পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ব্যয় না করে একটি অংশ ঐ সব বানবাসী মানুষের জন্য প্রদান করার ঘোষনা দেন। এ সময় দেখা যায় দিনব্যাপী প্রশাসনিক নিরাপত্তায় পালপাড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানের ২য় অধিবেশনে মঙ্গল শুভাযাত্রার শুভ উদ্ভোধন করেন শ্রী শ্রী গৌর সুন্দর দাস বাবাজি মহারাজ, তেলিকান্দি, সদরপুর এর উদ্ভোধনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গন হইতে জকিগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে পূণরায় মন্দিরে এসে জমায়েত হন পূর্ণার্তীরা। এ সময় দেখা যায় অত্যান্ত সু শৃংখল ও পরিবেশ বজায় রেখে প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গের কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে এ শুভাযাত্রা সম্পন্ন হয়। সব শেষে মন্দির প্রাঙ্গনে জমায়েত হয়ে মহা প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।