বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৬ দশমিক ১৪ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ১৯ টাকা। তবে, বর্তমানে আয় মাথাপিছু ঋণের চেয়ে বেশি। দেশের জনগণের বর্তমান বার্ষিক মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৭৯৩ ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ঋণ ও জিডিপি অনুপাতের দিক থেকে বাংলাদেশ এখনও ভালো অবস্থানে। কিন্তু, ঋণের সুদ পরিশোধ করতে জাতীয় বাজেটের বড় একটি অংশ ব্যয় হয়।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আয় বেশি হলেও রাজস্ব সংগ্রহ কম হওয়ার কারণে ঋণের ঝুঁকি এখন মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং বাণিজ্য ঘাটতির কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ায় সরকারের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।’
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘ঋণ ও জিডিপির অনুপাত বিবেচনায় এটি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে, একটি সমস্যা হলো রাজস্ব আয়ে ধীরগতি এবং দেশের সর্বনিম্ন কর ও জিডিপির অনুপাত।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়গুলো হলো—বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, অলস ঋণের উচ্চহার, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার প্রবণতা।’
তথ্য সূত্রঃ NTV